বিশেষ প্রতিনিধি – লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার দেনায়েত পুরের ২নং ওয়ার্ডে আব্দুল গণী হাজি বাড়ির ভ্যান গাড়ি চালক বৃদ্ধের স্ত্রী পারুল বেগম গত ১৯ মে বিকালে রায়পুর পৌরসভার ১,২,৩ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত কমিশনার নাজমেআরার রায়পুর থানা রোডের বাসায় ত্রান-সাহায্যের জন্য যান পারুল বেগম, তিনি কমিশনার কে বলেন, আপা আমার তিন সন্তান,স্বামীও একেবারে বৃদ্ধ, ভ্যান গাড়ি চালিয়ে কোন রকমে সংসার চলে,তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহার পাওয়ার আসায় তিনি কমিশনারের বাসায় এলে,তিনি প্রথম দর্শনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলেন,তোমাকে সরকার রেশন কার্ড দিয়েছে, তারপরেও অসভ্য মহিলা আমার বাসায় এসে ত্রান-সাহায্য চাইছে, এই বলেই কয়েকটা থাপ্পড় মেরে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। তখন পারুল বেগম বলে সাহায্য না দেন তাই বলে আপনি আমাকে মারতে পারেন না, এই কথা বলার সাথে সাথে কমিশনার নাজমে আরা তার পায়ের জুতা খুলে আমার বোখরা চেপে ধরে আমাকে বেদম প্রহার করে দোতলা থেকে মারতে মারতে নিচে নামিয়ে আনে। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি আওয়ামীলীগের রায়পুরের নেতা কর্মি , রায়পুর থানা ডিউটি অফিসার, সাংবাদিক সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ কে জানাই। তারই ফলশ্রুতিতে কমিশনারের পক্ষ থেকে একটি খাদ্যের পেকেট নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার মেয়ের ছবি ভিডিও করে নিয়ে যায় এবং আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকে।আমি আমার পরিবার নিয়ে ভয়ে আছি, যে কোন মূহুর্তে আমি এবং আমার পরিবারের ক্ষতি সাধন করতে পারে বিধায় তিনি ২২ মে ২০২০ খৃষ্টাব্দে রায়পুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এর বিচার প্রার্থনা করে এক লিখিত অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন বলে সরজমিন ঘুরে এসে আমাদের এপ্রতিবেদক জানান।
এই বিষয়ে কমিশনার নাজমে আরা বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তিন তিনবার কমিশনার নির্বাচিত হয়েছি, আপনি খবর নিয়ে দেখুন আমি কখনো কাহারো গায়ে হাত তুলেছি কিনা ? তারপরে ঐ মিহিলা পারুল ৭ বার ত্রান-সাহায্য পেয়েছে, তদুপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার ২৫০০ টাকাও পাবে। তাকে জুতো পেটা করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কখনোই কাহারো গায়ে হাত তুলি না।